মোঃ মিজানুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার: শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে আমাদের ফেনী ২ আসনের মাননীয় এমপি জননেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর সার্বিক সহযোগিতায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব সহ ১৫ই আগস্ট ও ২১ই আগস্টে নিহত সকল শহীদ স্মরণে এবং সদ্য প্রয়াত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সভাপতি ও ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রহমান বিকম সহ ফেনী জেলা আওয়ামী পরিবারের প্রয়াত নেতৃবৃন্দের রূহের মাগফিরাত কামনায় ফেনী জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আগামী ৩১ আগস্ট (মঙ্গলবার) কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। ফেনী পৌরসভাস্থ আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে বিকেল সাড়ে ৩ টায় এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে স্বপরিবারে নিহত হন। সেদিন তিনি ছাড়াও নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। এছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন। ১৫ আগস্ট নিহত হন মুজিব পরিবারের সদস্যবৃন্দ: ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল; পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজী কামাল; ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি।
বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসেন কর্নেল জামিলউদ্দীন, তিনিও তখন নিহত হন। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা। এছাড়াও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়, সেই হামলায় ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হয়। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রী মিসেস আইভি রহমান অন্যতম, যিনি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।